কোভিড ঠেকাতে ব্যাংক পরিচালনায় নতুন সিদ্ধান্ত

কোভিডের নতুন ধরন ওমিক্রণের সংক্রমণ রোধে
অর্ধেক জনবল দিয়ে ব্যাংক পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ
করে রোস্টারের মাধ্যমে অর্ধেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা
করতে হবে। তবে ব্যাংকের আবশ্যকীয় সেবা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে নিজ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট
প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অন্যান্য কর্তকর্তা ও কর্মচারী নিজ নিজ বাসস্থানে
অবস্থান করবেন। দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শেষ করবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকে আসা সেবাগ্রহীতাদের
অবশ্যই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়
সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে
১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা কার্যকর হয় ১৩ জানুয়ারি থেকে।
নির্দেশনাগুলো
হলো-
১. দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা
এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায়
তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক
ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
করতে হবে।
৩. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক
হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই কোভিডের টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪. ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে
শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের
অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে
স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে
নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে
পারবে। কোনো সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে
প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৬. ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক
সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে (পরে অবশ্য গণপরিবহনে আসনের সমান সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচলের
সিদ্ধান্ত হয়)। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা
জারি করবে। সর্ব প্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী
হতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক
কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক
পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা
প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৯. সর্বসাধারণের কোভিড টিকা এবং বুস্টার
ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয়
প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা
গ্রহণ করবে।
১০. উন্মুক্ত স্থানে সর্ব সামাজিক, রাজনৈতিক,
ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি
সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে
পারবে।


